প্রকাশিত: ০৩/০২/২০১৭ ৯:২০ এএম

উখিয়া নিউজ ডেস্ক::
২০১৮ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে বন্দর নগরী চট্রগ্রামের দোহাজারী থেকে পর্যটন শহর কক্সবাজার পর্যন্ত রেলপথ সম্প্রসারণের লক্ষ্যে দোহাজারী থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার এবং রামু থেকে মিয়ানমারের কাছে ঘুমধুম পর্যন্ত সিঙ্গেল লাইন ডুয়েলগেজ ট্র্যাক নির্মাণ (১ম সংশোধিত) শীর্ষক প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে,দোহাজারী থেকে কক্সবাজার রেলপথ নির্মানে এ প্রকল্পের আওতায় ৮৬৫ একর ভূমি অধিগ্রহণের কাজও শুরু হয়েছে।আর সরকারের অর্থ মন্ত্রনালয় এজন্য কক্সবাজারের ভুমি অধিগ্রহন শাখায় এক হাজার কোটি টাকার বরাদ্ধ করেছে।

এ লক্ষে জেলা প্রশাসক মো: আলী হোসেন ২ ফেব্রুয়ারী বৃহস্পতিবার দুপুরে দোহাজারী-কক্সবাজার রেল লাইন নির্মাণের লক্ষে জমি অধিগ্রহণের আওতাধীন ভারুয়াখালী আশ্রয়ন প্রকল্প পরিদর্শন করেন।

পরিদর্শনকালে জেলা প্রশাসক মহোদয় অধিগ্রহণকৃত আশ্রয়ন প্রকল্পের ১৪টি ব্যারাকের ১৪০টি পরিবারকে ক্ষতিপূরণ এবং পুনর্বাসন করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার এবং পরবর্তী স্থানে আশ্রয়ন প্রকল্পের বসবাসকারীদের কোন অসুবিধা না হয় সে লক্ষ্যে পূর্বের চেয়ে ভাল ও উন্নত পরিবেশে ঘর নির্মাণ করে দেয়ার নির্দেশনা প্রদান করেন সংশ্লিষ্টদের।

এ ছাড়া চকরিয়া পালাকাটা উচ্চ বিদ্যালয় ও খুটাখালী মসজিদ সহ জমি অধিগ্রহণের আওতাভূক্ত যে সকল জমি বা স্থাপনা যথানিয়মে পুনর্বাসনের আওতায় আনার নির্দেশনা প্রদান করেন জেলা প্রশাসক ।

পরে স্থানীয় বাসিন্দাদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি বলেন, বর্তমান সরকার জনবান্ধব সরকার। কোন অসহায় পরিবার বা মানুষকে ক্ষতি করে উন্নয়ন করতে আগ্রহী নয় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাই আপনাদের এ অবস্থা জানার সাথে সাথে আমাকে এখানে পাঠানো হয়েছে। আগে আপনাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে তারপর এ জমি অধিগ্রহণ করা হবে । পাশাপাশি বর্তমানের চেয়ে উন্নত একটি স্কুলও নির্মাণ করে দেয়া হবে এখানে । সে লক্ষ্যে আপনাদেরকে সহযোগীতা করতে হবে।

এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ( রাজস্ব ) মোহাম্মদ আনোয়ারুল রনাসের, ভ’মি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা ও সিনিয়র সহকারী কমিশনার আবু আসলাম, সহকারী কমিশনার সদর ভ’মি পঙ্কজ বড়–য়া, কানুনগো, তহশীলদার ও রেল লাইন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত,জাতীয় সংসদে গত সোমবার এক প্রশ্নের জবাবে সংসদকে রেলপথ মন্ত্রী মো. মুজিবুল হক জানান, চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার পর্যন্ত প্রথম পর্যায়ের রেললাইনের কাজ ২০১৮ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে বাস্তবায়ন হবে।আর এ রেলপথ সম্প্রসারণের লক্ষ্যে প্রকল্পের আওতায় ভূমি অধিগ্রহণের কাজ চলছে। এনজিও নিয়োগের জন্য চুক্তিপত্র সই হয়েছে। পাশাপাশি এডিবির সম্মতি নিয়ে রেলওয়ে ট্র্যাক নির্মাণের দরপত্র মূল্যায়নাধীন রয়েছে। প্রকল্প ব্যবস্থাপনা কনসালটেন্ট নিয়োগের জন্য ইওআই করা হয়েছে ও মূল্যায়নাধীন রয়েছে।

পাঠকের মতামত

২২ টি মোবাইল টীমের মাধ্যমে উখিয়ায় স্বাস্থ্য সেবা কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে প্রান্তিক

তাপমাত্রা প্রায় ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যে তাপমাত্রায় মানুষ ঘর থেকে বের হতে ভয় পায়। সেখানে ...

টেকনাফে ঘূর্ণিঝড় মোখায় ক্ষতিগ্রস্থ হতদরিদ্র পরিবার “আয়েশা” পেলেন মাথা গোছার নতুন ঠাঁই !

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়ন এ ঘূর্ণিঝড় ‘মোখায়’ ক্ষতিগ্রস্ত হতদরিদ্র পরিবারের কাছে তুলে দিয়েছেন সেমিপাকা ...